বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান |
হ্যালো বন্দুরা
আজ আমি সাধারন জ্ঞান মুক্তিযুদ্ধ পার্ট থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে কিছু
> শেখ মুজিবের বাবার নাম-শেখ লুতফর রহমান।
> শেখ মুজিবের মায়ের নাম-সায়েরা খাতুন।
> শেখ মুজিবের জন্ম ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। ১৭ মার্চ জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিনকে শিশু দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করেন ড, নীলিমা ইব্রাহিম।
> শেখ মুজিবের ছাড় বোন দুই ভাই ছিলেন।
> শেখ মুজিব ভাই বোন দের মধ্যে তৃতীয় ছিলেন।
> শেখ মুজিবের ডাক নাম খোকা।
> শেখ মুজিবের উচ্চতা ছিল ৫ ফিট ১১ ইঞ্চি।ছ।
> শেখ বেরি বেরি রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
> ১৬ জানুয়ারি ১৯৩৮ সালে শের-ই-বাংলার গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল পরিদরশনের সময় সাক্ষাত হয়।
> ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ফরিদপুরে কর্ডন প্রথার বিরুদ্ধে আন্দলন করে বন্দি হন।
> ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি শেখ মুজিব জেলে ছিলেন। জেলখানা থেকে বিবৃতি প্রদান করেন।
> ১৯৬৪ সালের ১১ মার্চ শেখ মুজিবের নেতৃতে সর্ব দলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।
> শেখ মুজিব ১৯৫২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কারাগারে অনশন শুরু করেন।
> শেখ মুজিব ১৯৫৩ সালের ১৬ নভেম্বর আওয়ামী মুস্লিম লীগের কাউন্সিল অধিবেশনে সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন।
> শেখ মুজিব ১৯৫৪ সালে ১০ মার্চ সাধারন নিরবাচনে ২৩৭টি আসনের মধ্যে যুক্তফ্রন্ট ২২৩ টি আসন লাভ করে।
> শেখ মুজিব ১৯৫৪ সালের ২ এপ্রিল যুক্তফ্রন্ট সরকার গঠন করা হয়।
> শেখ মুজিব ১৯৫৪ সালের ১৪ মে যুক্তফ্রন্ট সরকারের কনিষ্ঠ মন্ত্রি হিসেবে যোগদান করেন।
> শেখ মুজিব ১৯৫৫ সালের ৫ জুন পাকিস্তানের গণপরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন।
> শেখ মুজিব ১৯৫৫ সালের ১৭ জুন পলতনের জন সভায় পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন দাবী করেন।
> ১৯৫৫ সালের ২১ অক্টোবর আওয়ামী মুসলিম লীগের বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশনে ধর্ম নিরপেক্ষতাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহন করে মুস্লিম শব্দটি প্রত্যাহার করে নতুন নামকরন করেন আওয়ামী লীগ।
> ১৯৬৪ সালের ১১ মার্চ শেখ মুজিব এর নেত্রিত্তে সর্ব দলীয় সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়।
> ১৯৬৬ সালের ১৮ মার্চ আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অধিবেশনে ৬ দফা গ্রিহিত হয়।
> ১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ক্যান্তন ম্যান্তে সার্জেন্ট জহুরুল হক কে হত্যা করা হয়।
> ১৯৬৯ সালের ২৩ মার্চ শেখ মুজিবকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু উপাধি দেওয়া হয়।
> ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ রাওয়াল পিণ্ডিতে গোল টেবিল আলোচনা ব্যর্থ হয়ার পর আইয়ুব ইয়াহিয়া খানের কাছে ক্ষমতা হ্যান্ডঅভার করেন।
> ১৯৭১ সালে ২৭ জানুয়ারি জুলফিকার আলী কয়েক দফা আলোচনা করেন।
> ১৯৭১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি ইয়াহিয়া বেতার ভাষণে জাতীয় পরিষদের নির্বাচনের আহব্বান করেন।
> ১৯৭১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ মুজিবকে সংসদীয় দলের নেতা নির্বাচন করা হয়।
> ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের কালজয়ী ভাষণ প্রদান করেন।
> শেখ মুজিব ১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ বাংলাদেশের সাধিনতা ঘোষণা করেন।
> ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
> শেখ মুজিবকে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বন্দি করে পাকিস্তানে নিয়ে যান।
> ৮ জানুয়ারি ১৯৭২ পাকিস্তান থেকে মুক্তি পেয়ে পিয়াইয়ের বিমানে করে লন্ডন-এ হিথরো বিমান বন্দরে অবতরন করেন যান। তখন ব্রিটেনের প্রধান মন্ত্রি ছিল উইলিয়াম অ্যাডওয়াড হিথ। ১০ জানুয়ারি ব্রিটেনের রাজকীয় কমেট বিমানে ভারতে আসেন। তখন ভারতের রাস্ত্রপতি ছিলেন ভিপি গিরি।
> ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।
> ১০ জানুয়ারি রাতে ১৯৭২ রাস্ত্রপতির দায়িত্ত গ্রহন করেন।
> ১২ জানুয়ারি ১৯৭২ সংসদীয় কাঠামো প্রবরতন করে মন্ত্রি পরিষদ গঠন করা হয়। শেখ মুজিব দেশের প্রধান্মন্ত্রি নিজুক্ত হন।
> ২৬ মার্চ ১৯৭২ শোষণহিন সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।
> ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
> ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে খসড়া শাসনতন্ত্র অনুমোদিত হয়।
> ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর হয়।
> ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ গণপরিষদ বাতিল করা হয়।
> নতুন সংবিধানের আলোকে ৭ মার্চ ১৯৭৩ প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ৩০০ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৯২ টি আসন লাভ করে।
> ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ জাতিসঙ্গে বাংলায় প্রথম ভাষণ প্রদান করেন।
> ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।
> বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অনন্য ইতিহাস ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহরে ৬ দফা প্রস্তাব। কে এই প্রস্তাব লিখেন তা নিয়ে তিনটি মতবাদ আছে- এর একজন হল রুহুল কুদ্দুস, শামসুর রহমান খান, আহম্মেদ ফজলুর রহমান সি এস পি অফিসার এ টি লিখে ব্যাংকার খায়রুল কবিরের মাধ্যমে শেখ মুজিবের কাছে পৌঁছান হয়। আরও একটি মতবাদ হল আইয়ুব খানের বিশ্বস্ত আমলা আলতাব গওহর এ টি শেখ মুজিবের হাতে তুলে দেন।
> পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতির নাম নওয়াব জাদা নসরুল্লাহ।
> ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল এ কে ফজলুল হক মারা যান। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহিদ সোহরাওয়ারদী মারা যান। দায়িত্ত চলে আসে শেখ মুজিবের উপর। শেখ মুজিব এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য পুর্ব বাংলাকে বাংলাদেশ নামকরন করেন।
> পাকিস্তানের ২৪ বছরের মধ্যে শেখ মুজিব ১২ বছর জেল খাটেন।
> ৬ দফা আন্দোলনকে মুছে ফেলার জন্যই ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি শেখ মুজিবকে প্রধান আসামি করে ৩৪জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য নামে মামলা দায়ের করা হয়।
> ১৯৬৮ সালের ১৭ জানুয়ারি শেখ মুজিব মুক্তি পাওয়ার পর জেল গেইটে আবার আটক করা হয়।
> ১৯৬৮ সালের ১৯ জুন এই মামলার বিচার কাজ শুরু হয় ঢাকা সেনানিবাসে।
> পাকিস্তান দণ্ড বিধির ১২১ (ক) এবং ১৩১ ধারায় শুনানি হয়।
> এই মামলার বিচার চলাকালিন সময়ে ২৬ জন কৌশলী ছিলেন। শেখ মুজিবের প্রধান কৌশলী ছিলেন আব্দুস সালাম খান। একটি সেশনের জন্য ব্রিতেন থেকে আসেন আইনজীবী টমাস উইলিয়াম। তাকে সাহায্য করেন তরুণ ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম ও মওদুদ আহমেদ।
> এই মামলার ১০০ টি অনুচ্চেদ ছিল। ১১ জন রাজ সাক্ষী ও ২২৭ জন সাখির তালিকা আদালতে পেশ করা হয়।
> এই মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রি মঞ্জুর কাদের, এম এর খান। বাঙালি ছিলেন মুকসুদুল করিম।
> এই মামলার প্রতিক্রিয়ায় ৪ জানুয়ারি ১৯৬৯ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। এই পরিষদ ১১ দফা ও ৬ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দলনের ফলে জান্তা সরকার এই মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় এবং শেখ মুজিবকে শর্ত হীন মুক্তি দেন।
> ২৬ মার্চ ১৯৭২ শোষণহিন সমাজ গঠনের অঙ্গীকার নিয়ে প্রথম স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।
> ১৯৭২ সালের ১০ এপ্রিল গণপরিষদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হয়।
> ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে খসড়া শাসনতন্ত্র অনুমোদিত হয়।
> ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর সংবিধান কার্যকর হয়।
> ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ গণপরিষদ বাতিল করা হয়।
> নতুন সংবিধানের আলোকে ৭ মার্চ ১৯৭৩ প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে ৩০০ টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৯২ টি আসন লাভ করে।
> ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৪ জাতিসঙ্গে বাংলায় প্রথম ভাষণ প্রদান করেন।
> ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়।
> বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অনন্য ইতিহাস ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি লাহরে ৬ দফা প্রস্তাব। কে এই প্রস্তাব লিখেন তা নিয়ে তিনটি মতবাদ আছে- এর একজন হল রুহুল কুদ্দুস, শামসুর রহমান খান, আহম্মেদ ফজলুর রহমান সি এস পি অফিসার এ টি লিখে ব্যাংকার খায়রুল কবিরের মাধ্যমে শেখ মুজিবের কাছে পৌঁছান হয়। আরও একটি মতবাদ হল আইয়ুব খানের বিশ্বস্ত আমলা আলতাব গওহর এ টি শেখ মুজিবের হাতে তুলে দেন।
> পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সভাপতির নাম নওয়াব জাদা নসরুল্লাহ।
> ১৯৬২ সালের ২৭ এপ্রিল এ কে ফজলুল হক মারা যান। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহিদ সোহরাওয়ারদী মারা যান। দায়িত্ত চলে আসে শেখ মুজিবের উপর। শেখ মুজিব এই দিনটি স্মরণীয় করে রাখার জন্য পুর্ব বাংলাকে বাংলাদেশ নামকরন করেন।
> পাকিস্তানের ২৪ বছরের মধ্যে শেখ মুজিব ১২ বছর জেল খাটেন।
> ৬ দফা আন্দোলনকে মুছে ফেলার জন্যই ১৯৬৮ সালের ৩ জানুয়ারি শেখ মুজিবকে প্রধান আসামি করে ৩৪জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র বনাম শেখ মুজিবুর রহমান এবং অন্যান্য নামে মামলা দায়ের করা হয়।
> ১৯৬৮ সালের ১৭ জানুয়ারি শেখ মুজিব মুক্তি পাওয়ার পর জেল গেইটে আবার আটক করা হয়।
> ১৯৬৮ সালের ১৯ জুন এই মামলার বিচার কাজ শুরু হয় ঢাকা সেনানিবাসে।
> পাকিস্তান দণ্ড বিধির ১২১ (ক) এবং ১৩১ ধারায় শুনানি হয়।
> এই মামলার বিচার চলাকালিন সময়ে ২৬ জন কৌশলী ছিলেন। শেখ মুজিবের প্রধান কৌশলী ছিলেন আব্দুস সালাম খান। একটি সেশনের জন্য ব্রিতেন থেকে আসেন আইনজীবী টমাস উইলিয়াম। তাকে সাহায্য করেন তরুণ ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম ও মওদুদ আহমেদ।
> এই মামলার ১০০ টি অনুচ্চেদ ছিল। ১১ জন রাজ সাক্ষী ও ২২৭ জন সাখির তালিকা আদালতে পেশ করা হয়।
> এই মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রি মঞ্জুর কাদের, এম এর খান। বাঙালি ছিলেন মুকসুদুল করিম।
> এই মামলার প্রতিক্রিয়ায় ৪ জানুয়ারি ১৯৬৯ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন করা হয়। এই পরিষদ ১১ দফা ও ৬ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দলনের ফলে জান্তা সরকার এই মামলা প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয় এবং শেখ মুজিবকে শর্ত হীন মুক্তি দেন।
No comments:
Post a Comment